লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ ও মন্দিরসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মসজিদসহ উপাসনালয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিটিতে জানানো হয়, “সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতের নামাজের জন্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।
শর্তগুলো হলো-
• মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার সুযোগসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লীদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
• প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে ও সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। ওজুর সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
• মসজিদে বিছানো যাবে না কোনো কার্পেট। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে নিতে হবে।
• মুসল্লীদের নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
• কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
• শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে নিজেকে বিরত রাখবে।
• মসজিদের ওযুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
• ব্যবহার করা যাবে না মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি।
• সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
• অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এসব নির্দেশনা মানা না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে বিজ্ঞপ্তিটিতে জানানো হয়েছে।