লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেদ হাসান মতিনকে সাদা পোশাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে

0
লেকহেড

গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেদ হাসান মতিনকে তার অফিস থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে সাদা পোশাকে ৭ থেকে ৮জন লোক এসে গুলশানের অফিস থেকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য জায়গায় তাকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী ইদ্রিস আলী আজ সন্ধ্যায় গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নম্বর ১৩৭৮।
লেকহেড
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালকের নিখোঁজের বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। এই বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খালেদ হাসানের সন্ধানে তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।

লেকহেড স্কুলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসিফ ইশতিয়াক। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত বছরের ৫ নভেম্বর ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমণ্ডির দু’টি শাখা বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। প্রতিষ্ঠানটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতাসহ স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর ৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মেহেদী স্কুলটির দু’টি শাখা বন্ধ করে দেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর লেকহেড স্কুলের দুটি শাখা বন্ধের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন (নিখোঁজ) ও ১২ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষে দু’টি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট স্কুলটি খুলে দেওয়ার আদেশ দেন। কিন্তু পরে আবারও তা স্থগিত করে দেয় হাইকোর্ট। পরে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে সভাপতি করে এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ করে স্কুলটি চালুর নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় থেকে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রে স্কুলটি খুলে দেন। এর পরদিন ১৩ জানুয়ারি থেকে স্কুলটি খোলা রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে