সময়ের প্রয়োজনেই কোটা পদ্ধতির আমূল সংস্কার জরুরি

0
হোসেন জিল্লুর রহমান

সময়ের প্রয়োজনেই বর্তমান কোটা পদ্ধতির আমূল সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ডক্টর হোসেন জিল্লুর রহমান। সরকারি চাকরিতে কয়েকটি কোটাকে ঘিরে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে, কোটা পদ্ধতির সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
হোসেন জিল্লুর রহমান
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘসময় ধরে রাজপথে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। ৫৬ ভাগ কোটার বিপরীতে মেধার জায়গা মাত্র ৪৪ শতাংশ। আবার যোগ্য প্রার্থী না পেলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের ফলে শূন্য রয়ে যায় অনেক পদ। এই যেমন ২৮ থেকে ৩৫ তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে ৫ হাজার পদ শূন্য রয়ে যায়।

শুধু কোটার শূন্য পদ পূরণ করতে মুক্তিযোদ্ধা,আদিবাসী ও নারীদের জন্য নেয়া হয় ৩২তম বিশেষ বিসিএস। তারপরও মুক্তিযোদ্ধায় ৮১৭টি, নারী কোটায় ১০ টি ও উপজাতি ২৯৮ মিলিয়ে ১ হাজার ১২৫ টি পদ ফাকা থেকে যায়। বিসিএসের মতো তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এমন প্রথা মেধা কোটার জন্য বৈষম্যমূলক বলেই মনে করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।

বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের কোন উদ্যোগ সরকারের নেই বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান। যদিও তিনি জানান, কোটার বিপরীতে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে প্রার্থী নিয়োগ দেয়া হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি।

সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ৫ দফা দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন দাবির সাথে একমত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা। তার মতে, দেশের স্বার্থেই কোটা পদ্ধতির সংস্কার জরুরি।