সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সংসদ

0
সংসদ

বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় যুক্ত করায় সংসদ সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২০তম অধিবেশনে আজ সমাপনী অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর আনীত এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সংসদ
এর আগে ‘জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক কমিটি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় যুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানানো হোক-’ শীর্ষক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দল, বিরোধী দল ও স্বতন্ত্রসহ ২৭জন সংসদ সদস্য। এ বিষয়ে সাড়ে চার ঘন্টা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সদস্যরা বলেন, আগে এদেশে বাজেট হতো বিদেশী সাহায্য নির্ভর। এখন ৯৮ শতাংশ অভ্যন্তরীন আয়ের ওপর নির্ভর করে বাজেট হয়। জাতিসংঘসহ বিশে্বর নেতৃবৃন্দ এখন বাংলাদেশে আসেন উন্নয়নের গল্প শুনতে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। চলমান পাঁচটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জিডিপি হবে ১০ শতাংশের ওপর। শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে প্রমাণ করেছেন কিভাবে দুর্নীতি মুক্ত থেকে সঠিক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাধ্যমে দেশেকে এগিয়ে নেওয়া যায়। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। বিষয়ক আনীত সাধারণ নোটিশের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কথা বলেন তিনি।

বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, জাতীর পিতা আমাদের একটি পতাকা দিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি তা সুসংহত করে যেতে পারেন নি। এর পরে হুসাইন মোহম্মদ এরশাদ স্বাধীনতা ঘরে ঘরে স্বাধীনতার স্বাদ পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার সময়ে গার্মেন্টস শিল্প স্থাপিত হয়। তবে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে উন্নয়নে জোয়ার এসেছে। তবে দেশে বেসরকারী বিনিয়োগ কমে গেছে। উন্নয়নশীল দেশে দেশে করের পরিমান বাড়ার কারণে রপ্তানী সহ বাণিজ্যে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেদিকে নজর রাখা দরকার। আমাদের কর্মসংস্থানের উপর নজর দিতে হবে। বেকার সমস্যা দূরী করণের জন্য যে ধরনের কলকারখানা প্রয়োজন তা হচ্ছে না।

অন্য দিকে কৃষিতে বেকার বাড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশে বিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোকে কর্মী যাচ্ছে না। সেই সাথে বিনিয়োগ কমে যাওয়া, স্বল্প সুদে ঋণ প্রাপ্তি হচ্ছে না, ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য চলছে, তাতে কিভাবে উন্নয়ন ঘটবে? এ দূর করতে হবে। সুশাসন ছাড়া গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় না। সেদিকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। সকলে মিলে সে দিকে কাজ করা প্রয়োজন। আমরা সরকারকে সব ধররে সহযোগীতা করবো।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, জাতীর পিতার একটা দর্শন ছিল, তা হলো পরাধীনতা, বৈষম্য থেকে মুক্তি। বড় কিছু করতে হলে একটা দর্শন লাগে, লক্ষ্য লাগে। শেখ হাসিনার সরকারের সেটা রয়েছে। পুজিবাদের কাছ থেকে শেখ হাসিনা দেশকে রক্ষা করেছেন। দারিদ্রতা থেকে তিনি মানুষকে রক্ষা করছেন। শেখ হাসিনা অন্তভুক্তিমূলক অর্থনীতি প্রচলন করেন। তিনি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। দ্রুত দারিদ্র নিরসনে তিনি নিরাপত্তা জাল সৃষ্টি করাসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে বহুমুখী করণ করেছেন। কিন্তু প্রথম থেকে জঙ্গিবাদীরা, লুটেরারা কাটা বিছিয়ে রেখেছিল, সেটি ঠিক করে উন্নয়ন করা কঠিন চ্যালেন্স ছিল। শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়নের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত করেছেন।

আলাচনায় অংশ নেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ডা. দীপু মনি, আবদুল মতিন খসরু, ড. মোহম্মদ আবদুর রাজ্জাক, ড. হাছান মাহমুদ, অধ্যাপক আলী আশরাফ, তাজুল ইসলাম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, অ্যাডভোকেট সানজীদা খানম, অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, মৃনাল কান্তি দাশ, জাসদের শিরীন আক্তার, বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।