সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

0
সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

মাত্র ৫ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর কোনো সুদ আদায় করা হবে না) সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ নিতে পারবেন। সোমবার ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’-এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, গৃহ নির্মাণ ঋণ নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৬ বছর করা হয়েছে। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন।

ঋণের সুদ গড়ে ১০ শতাংশ ধরে বলা হচ্ছে, সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে সুদ নেওয়া হবে ৫ শতাংশ। বাকি অংশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হবে। ঋণের বিপরীতে সুদের ওপর সুদ, অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধি সুদ নেওয়া হবে না। এ ছাড়া কোনো ‘প্রসেসিং ফি’ বা আগাম ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনো ‘অতিরিক্ত ফি’ দিতে হবে না। ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ২০ বছর। নীতিমালায় সর্বোচ্চ ঋণসীমা ৭৫ লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন ঋণ ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে।

এই নীতিমালা শুধু বেসামরিক সরকারি কর্মচারীদের জন্য করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও কর্তৃপক্ষগুলোয় যাঁরা স্থায়ী পদে চাকরি করেন, তাঁদেরই দেওয়া হবে এই ঋণসুবিধা। সামরিক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, পৃথক বা বিশেষ আইন দ্বারা তৈরি প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কর্মচারীরা এ নীতিমালার বাইরে থাকছেন। সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কেউ এই ঋণ পাবেন না।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা থাকলে বা দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগপত্র দাখিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঋণের অযোগ্য হবেন। তবে ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে নিজেদের অন্তত ১০ শতাংশ টাকা থাকতে হবে। তৈরি ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের পুরো অর্থ এক কিস্তিতে ছাড় করবে ব্যাংক। তবে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ঋণের টাকা ছাড় করা হবে চার কিস্তিতে।

জাতীয় বেতনকাঠামোর পঞ্চম থেকে প্রথম ধাপে (গ্রেড) বেতন-ভাতা পাওয়া সরকারি কর্মচারীরা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে বাড়ি তৈরিতে ঋণ পাবেন ৭৫ লাখ টাকা। জেলা সদরে বাড়ি তৈরি বা ফ্ল্যাট কেনায় ঋণের অঙ্ক হবে ৬০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ লাখ টাকা।