হিজাব ধরেছিলাম ক্লাস এইটে। তেমন কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই হঠাৎ করেই এমন করলাম! বাবা চাননি আমি হিজাব বোরখা পরি, ভেবেছিলেন বাচ্চা মানুষ, কয়দিন পর ছেড়ে দেব। ছাড়লাম না। নিজের ইচ্ছার সাথে আপোষ কোনোদিন ও করিনি।
স্কুলে থাকতে নাচ করেছি। জাতীয় পর্যায়েও! কারাতে শিখেছি। গানের গলা ভাল না হলেও জোর করে মা গানের স্কুলে ভর্তি করিয়েছিল। সাইকেল চালাতাম।এলাকাতে গুণ্ডা বলে পরিচয় ছিল। হিজাবকে নিজের ‘তথাকথিত ভদ্রতা’ অথবা সাফল্যের বাধা হিসেবে কখনোই দেখিনি।
কিন্তু একটা বড় ধাক্কা খেলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে। কেউ কেউ আমাকে অতি ভদ্রের ক্যাটাগরিতে ভেবে বসত। কেউবা অসহায় নারী ভাবতো, ভাবতো পশ্চাৎপদ। হিজাব খুলতে রাজি নই বলে অংশ নিতে পারিনি কিছু কিছু অনুষ্ঠানেও। একই আমাকে পোশাকের জন্য ‘ডানপন্থী’ আর মানসিকতার জন্য ‘বামপন্থী’ নাম দেওয়া হয়।
একটা সময় ভাবতাম মাথার উপরের পর্দা দিয়ে বিচার না করে আমাকে কি মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে মাপা যেতোনা? এখন আর ওসব ভাবি না। আমার পোশাক নিয়ে কে কি ভাবল এটা নিয়ে পড়ে থাকলে আমি কখনো সত্যিকারের ‘আমি’ হয়ে উঠতে পারব না।
সবার আগে আমি একজন মানুষ।আমার হিজাব ও আর দশটা পোষাকের মত একটা পোষাক।তাই আগামীবার আমার মুখে হোলির রঙ দেখে চিড়িয়াখানার জন্তুর মত না তাকিয়ে থাকলেই খুশি হব।
I am not,what I wear, at first, I’m a human being.
সুমাইয়া আরেফিন অর্ণি
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
#P2Pchallenge #ThinkSpeakChange
#ChangeisYou #MOVE #Rise2change
#ChallengingExtremism