নির্বাচন কমিশন আসছে আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার কমিশন সভা শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
হেলালউদ্দীন বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তখন বিস্তারিত বলা হবে।
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এই নির্বাচন হবে রংপুর সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন। দলীয় প্রতীকেই এ ভোটে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়া যাবে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়ে পাঁচ দিনের মাথায় কুমিল্লা সিটির ভোট করেছিল বর্তমান কমিশন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে সেটাই ছিল এ ইসির অধীনে প্রথম নির্বাচন।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সব দলের অংশগ্রহণে ভোট করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংলাপ শেষ করেছে কমিশন। এ অবস্থায় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ইসির আস্থা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চের মধ্যে রংপুরে নির্বাচন করতে হবে।
এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৭টি।
পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না। নির্বাচনে জিতে সিটির প্রথম মেয়র হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।