৫ বছর জেলে থাকতে হবে না খালেদা জিয়াকে

0
খালেদা জিয়া

উচ্চ আদালতেও সাজা বহাল থাকলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুরো পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে না। আদালত ঘোষিত কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে এক মাস ৯ দিন কম কারাভোগ করবেন তিনি। এর আগে খালেদা জিয়া যখন গত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এমপি হোস্টেলে স্থাপিত সাব জেলে বন্দি ছিলেন, তখন এই মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়।

খালেদা জিয়াজিয়া অরফানেজ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়া এর আগে এক মাস ৯ দিন কারাভোগ করেন। তাই ওই সময়টুকু তাকে আর কারাভোগ করতে হবে না।

তবে খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী মাহবুব হোসেন বলেছেন, তারা রায়ের কপি পেয়েই উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। সেখানে তারা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছেন।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ মামলাটি করে। সে সময় খালেদা জিয়া সাবজেলে আটক ছিলেন। তাকে এ মামলায় আটক দেখানোর পর ১৭ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত এক মাস ৯ দিন খালেদা জিয়া সেখানে আটক ছিলেন। এই সময়টুকু কারাভোগ হিসেবে গণ্য হবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ ধারার কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার একজন আইনজীবী জানান, খালেদার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে এই ১ মাস ৯ দিন বাদ যাবে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ মামলার রায়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত।

বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীন, মীর নাসির উদ্দীন, নিতাই চন্দ্র রায়, সানাউল্লাহ মিয়া, আজিজুর রহমান খান বাচ্চু, আমিনুল ইসলাম ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ উপস্থিত রয়েছেন।

এ ছাড়া দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মান্নান, মীর আবদুস সালাম প্রমুখও উপস্থিত হয়েছেন। বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার গত ২৫ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন ৮ ফেব্রুয়ারি। উল্লেখ্য, ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করে।