বঙ্গভবনের একজন কর্মকর্তারসাথে কথা বলে জানা যায় , মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুপুর পর্যন্ত চারজনের শপথ আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আর সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের ওয়ার্কশপে কয়েকটি নতুন গাড়ি ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের জন্য।
পরিবহন পুলের একজন কর্মকর্তা আমাদের জানান, “আমরা কয়েকটি গাড়ি প্রস্তুত রেখেছি। ড্রাইভারও রেডি আছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যে কয়টা চাইবে, আমরা পাঠিয়ে দেব।”
জানা যায় গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চারজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে থাকতে বলা হয়েছে শপথের জন্য।
এদের মধ্যে রয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা নারায়ন চন্দ্র চন্দ। পদোন্নতি পেয়ে মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
বঙ্গভবনের ডাক পাওয়া আরেকজন রাজবাড়ীর এমপি কাজী কেরামত আলী এবং লক্ষ্মীপুরের সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামাল প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
আর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বার পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
বিজয় বাংলা কিবোর্ডের উদ্ভাবক মোস্তফা জব্বার (৬৮) যেহেতু সংসদ সদস্য নন, তাকে মন্ত্রিসভায় আনতে হবে টেকনোক্র্যাট হিসেবে। বাকিরা কে কোন দায়িত্ব পাচ্ছেন তা শপথের পরই স্পষ্ট হবে বলে জানা যায়।
৭২ বছর বয়সী নারায়ন চন্দ্র চন্দ খুলনা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনবার। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করলে নারায়ন চন্দ্রকে দেওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
৬৩ বছর বয়সী কাজী কেরামত আলী গত নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসন থেকে চতুর্থবারের মত এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য এবং সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ শাহজাহান কামাল (৭২) দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপাতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ভাই অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
কয়েকজনের শপথ ছাড়াও মন্ত্রিসভায় আরও কিছু রদবদল আসতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে সচিবালয়ে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচন। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়েছেন এমন দুই-একজনকে বাদ দিয়ে নতুন দুই-একজনকে আনা হতে পারে। কারও কারও দপ্তরও বদল হতে পারে।”