কারও আপত্তিকর বা অপছন্দের মন্তব্য মুছে ফেলা বা লুকিয়ে রাখার জন্য নতুন একটি বাটন আনছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এর নাম ‘ডাউনভোট’। ইতিমধ্যে এ বাটন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত আকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে এটিকে ‘ডিসলাইক’ বাটন বলতে নারাজ ফেসবুক। এ বাটনের ফলে আপনি চাইলেই আপনার পোস্ট থেকে আপত্তিকর বা অপছন্দের মন্তব্য মুছে ফেলতে বা লুকিয়ে রাখতে পারবেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ‘টেক ক্রাঞ্চ’ নামের একটি ওয়েবসাইটের কাছে ফেসবুক ডাউনভোট বাটন নিয়ে নিরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগের কিছু সাইটে এ রকম ডাউনভোট বাটন অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এই বাটনের কারণে অজনপ্রিয় পোস্টগুলো যাতে কম দেখা যায়, সেই ব্যবস্থা করা যায়।
টেক ক্রাঞ্চ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা আমাদের পাবলিক পেজে এ ফিচার (ডাউনভোট বাটন) চালু করেছি। এতে ব্যবহারকারীরা ভালোই সাড়া দিচ্ছেন। এ সুযোগ পাচ্ছেন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা।’
যুক্তরাষ্ট্রের অল্পসংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারী পরীক্ষামূলকভাবে ডাউনভোট বাটন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। নানা সমালোচনার মুখে ফেসবুক সম্প্রতি এমন আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যবহারকারীরা অনেক দিন থেকেই কারও পোস্টকে ‘ডিসলাইক’ বা অপছন্দ করা যায় এমন একটি বাটন চাইছিলেন। এই চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ফেসবুক এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডাউনভোট বাটনে ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট মন্তব্যটি আর দেখা যাবে না। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এভাবে আপত্তিকর, বিভ্রান্তিকর বা অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট বা মন্তব্য লুকিয়ে রাখতে পারবেন। তবে এ বাটন দিয়ে পুরো পোস্ট আড়াল করা যাবে না। এ ছাড়া নিউজ ফিডের র্যাঙ্কিংয়ে এর অবস্থান পরিবর্তনও করা যাবে না।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেসবুক এখন চেষ্টা করছে নিজেদের একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরতে। তাদের সর্বশেষ এ উদ্যোগ তেমনই একটি পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিসিএস ইনসাইটের প্রযুক্তিবিষয়ক বিশ্লেষক মার্টিন গার্নার বলেন, ‘এটি খুবই পরিষ্কার যে মার্ক জাকারবার্গ চান না কোনো আপত্তিকর বা বিভ্রান্তিকর কোনো কিছুর দায়িত্ব ফেসবুকের ঘাড়ে চাপুক।’
এদিকে শুক্রবার এক ঘোষণা ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তাদের প্রকৌশলীর সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এদের কাজ হবে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তার দ্রুত সমাধান করা। প্রতারণা, হয়রানি, মিথ্যা খবর থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাই হবে এদের দায়িত্ব।