সরকার মাসখানেকের মধ্যেই জীবন বদলে দেয়ার প্রযুক্তি ফাইভজি পরীক্ষা করতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফের সঙ্গে এক বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ তথ্য জানান।
সভায় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে পথ চলবে। ফাইভজির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। চলতি বছরের জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো হবে।
হুয়াওয়ের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এই পরীক্ষা করা হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। ইতোমধ্যে বিশ্বে আগামী প্রজন্মের ফাইভজি নেটওয়ার্কের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে হুয়াওয়ে। পরীক্ষাটি চালানো হয় ইতালির টুরিন শহরে। ফ্রিকুয়েন্সির যথাযথ ব্যবহারের ফলে পরীক্ষাধীন নেটওয়ার্কটি ৩ গিগাবিট পর্যন্ত স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছে।তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে ফ্রিকুয়েন্সির প্রতি হার্জে এক সেকেন্ডে ৩০ বিট ডাটা স্থানান্তর করা যাবে। এর ফলে স্পেকট্রাম কম থাকলেও ডাটা স্পিড কমবে না।
হুয়াওয়ে নতুন নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণাতে ৬ হাজার ৪ শত ৭৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। হুয়াওয়ের পাশাপাশি টিম, টেলুস ও অন্যান্য নেটওয়ার্ক সেবাদাতারাও ফাইভজি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বছর থেকেই কোয়ালকম, স্যামসাং ও ইন্টেল ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের উপযোগী ফোন নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে।পরবর্তী প্রজন্মের এই ওয়্যারলেস প্রযুক্তি দৈনন্দিন জীবন যাত্রাকে অনেকখানিই পাল্টে দেবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট সিটি ও নেটওয়ার্ক যুক্ত রোবট চালাতে ভূমিকা রাখবে ফাইভজি। এর বাইরেও অভাবনীয় কিছু কাজে ব্যবহৃত হবে ফাইভজির গতি।