বেকার সমস্যা নিরসনে গত ৯ বছরে সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬ লাখ ১১ হাজার ১৮৪টি পদ রাজস্ব খাতে সৃজনে সম্মতি প্রদান করা হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তারমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৭৯ হাজার ২৪৯টি পদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রামু ও লেবুখালী ডিভিশনের জন্য ২৬ হাজার ৩৯৬টি পদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় /বিভাগ/ দপ্তর/ অধিদপ্তর/ সংস্থায় এ সব পদ সৃজনে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সংসদে তিনি আজ সরকারি দলের জাহান আরা বেগম সুরমার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফুল বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৯ বছরে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির পদে ১৭৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮তম বিসিএস থেকে ৩৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ২২ হাজার ১৮১ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। ৩৬তম বিসিএস’র মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশন সচিবালয় ২ হাজার ৩২৩ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ৩৭, ৩৮ ও ৩৯তম বিসিএস’র মাধ্যমে যথাক্রমে ১ হাজার ১৮২, ২ হাজার ২৪ ও ৪ হাজার ৭৯২টি পদে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে দেশের বেকার সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার পদে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ৭ হাজার ৪৮৫টি পদের সুপারিশ করা হয় (১ম ও ২য় শ্রেণি পদে)। ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগে বিভিন্ন ক্যাটাগরি নন-ক্যাডার ১ম ও ২য় শ্রেণির ২০ হাজার ৫১৩টি পদে সরাসরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয়ের জন্য ১ হাজার ৩৫৬টি পদ সৃজন করা হয় এবং ৯ বছরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনে মোট ৭ হাজার ৫২৪টি পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি বছর একটি করে বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করছে। ফলে গত ৯ বছরে বেকার সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হয়েছে।