ইনসাইড ডেস্ক
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া মো. রকিকে মোবাইলে গেম খেলার জেরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের শফিকুল আলম এবং মো. সোহেল।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে হত্যার পর জড়িত সন্দেহে সোহেলকে আটক করি আমরা। শুরুতে জড়িত থাকার ব্যাপারে অস্বীকার জানালেও কয়েক ঘন্টা পর ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে জড়িত আরও দুজনের নাম পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযানে নেমে তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে শফিককে আটক করে। শফিক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী খুনে ব্যবহৃত ছুরি এবং রকির মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের পাশে মোবাইলে গেম খেলছিলেন রকি, শফিক, সোহেল ও আরেক ব্যক্তি। একপর্যায়ে শফিকের সঙ্গে গেম খেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এর জেরে শফিক, সোহেল ও আরেক ব্যক্তির সহায়তায় পরে রকিকে ছুরি দিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। রকির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা রকিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকির মৃত্যু হয়।
আরেক আসামির ব্যাপারে ওসি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তার নাম প্রকাশ করছি না। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে উপস্থিত করে জবানবন্দি দেওয়ার পর বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী মো. রকি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বাসিন্দা আহমদ শফির ছেলে। রকি সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের একটি আসবাবপত্রের দোকানে কর্মচারী ছিলেন।