সড়কে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ

0

ইনসাইড ডেস্ক:

সরকারের কাছে দুধ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদিপুর দুধহাটার দুধ বিক্রেতারা শনিবার সকালে দুধ সড়কে ফেলে দিয়েছেন। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা চামারি-নাটোর সড়কে এসব দুধ ফেলে দেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণ সময়ে তাঁরা প্রতি কেজি দুধ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে কয়েক দিন যাবৎ দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ২০ টাকা কেজিতে। শনিবার বেলা ১১টা পার হলেও বাজারে কোনো ক্রেতার দেখা না মেলায় দুধ বিক্রেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে একযোগে তাঁদের সব দুধ চামারি-নাটোর সড়কে ঢেলে দেন।

বাহাদিপুর দুধহাটায় আসা কয়েকজন দুধ বিক্রেতা জানান, প্রত্যেকদিন দুধ সংগ্রহ করে এই বাজারে নিয়ে আসেন বিক্রির উদ্দেশ্যে। মোট অন্তত এক টন দুধের সমাগম করা হয় এই বাজারটিতে যার প্রধান ক্রেতা প্রাণ ও আড়ং ডেইরি। পাশাপাশি আশপাশের শহরের মিষ্টি ও ছানা ব্যবসায়ীরাও তাঁদের থেকে দুধ সংগ্রহ করে থাকেন। তবে ছুটির দিনে প্রাণ ও আড়ং ডেইরি দুধ কিনতে না আসায় দিনগুলোতে দুধের ক্রেতা ও দাম দুটোই কম পড়ে যায়। উপরন্তু নাটোরের আটটি পৌর শহরে স্থানীয়ভাবে লকডাউন থাকায় ও সোমবার থেকে দেশব্যাপী লকডাউন শুরুর ঘোষণায় কয়েক দিন যাবৎ প্রায় কোনো ক্রেতাই মিলছে না।

বাহাদিপুরের খামারি সাদ্দাম হোসেন জানান, ৫০ টাকা কেজি গরুর খাবারে ব্যয় করে ২০ টাকা কেজি দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ এখানে দুধ সংরক্ষণের বা প্রক্রিয়াজাত করার সুযোগ থাকলে তাঁকে এভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো না।

কান্দিপাড়া গ্রামের সাহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়িতে থাকা আটটি গাভি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ কেজি দুধ হলেও ক্রেতার অভাবে গত কয়েক দিন মাত্র ২০ টাকা কেজিতে দুধ বিক্রি করতে হয়েছে। এতে গাভি পালনের খরচাপাতিই উঠে না। এভাবে চললে তো সংসার চলবে না।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খুরশিদ আলম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা আছে। ইটালী, ডাহিয়া ইউনিয়নে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র বা ক্রয়কেন্দ্র তৈরির জন্য সরকারের কাছে ইতোমধ্যেই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদিত করা হলেই দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র বা ক্রয়কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হবে।