গত সোমবার হঠাৎ করেই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রাষ্ট্রপতির কাছে এক মাসের ছুটির আবেদন করেছেন। প্রধান বিচারপতির হঠাৎ ছুটিতে যাওয়া নিয়ে নানা আলোচনা ও গুঞ্জন শোনা গেছে। এ ছুটির বিষয়টিই ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। গতকাল মঙ্গলবার তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন- এ বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হককে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা কি গৃহবন্দী? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাসায় অসুস্থ আছেন। গতকাল মঙ্গলবার উনাকে ডাক্তার দেখতে যান। আজকেও ডাক্তার দেখতে যাওয়ার কথা আছে।
এ সময় বিচারপতির ছুটি নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তিনি অসুস্থ, এটা নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই। আসুন আমরা সবাই মিলে বিচারপতি এস কে সিনহার সুস্থতার জন্য দোয়া করি। বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বলব, আসেন দোয়া করি, উনি যেন সুস্থ হয়ে যান।
এসময় সংবাদ বিফ্রিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটির আবেদনে কী আছে, তা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রধান বিচারপতির লেখা চিঠির বিষয় এ লেখা হয়েছে- ‘অসুস্থতাজনিত কারণে ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটির আবেদন।
রাষ্ট্রপতি বরাবর লেখা ওই আবেদনে এস কে সিনহা বলেন, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি গত বেশ কিছুদিন যাবৎ নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভুগছি। আমি ইতিপূর্বে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছি। আমার শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশ্রামের একান্তই প্রয়োজন। ফলে আমি ৩ অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত ৩০ দিন ছুটি ভোগ করতে ইচ্ছুক।
এমতাবস্থায় ৩ অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটির বিষয়ে মহাত্মনের সানুগ্রহ অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
চিঠির নিচে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্বাক্ষর রয়েছে। আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের পুরো চিঠিটি পড়েও শোনান।