রাজকুমার হিরানির থ্রি ইডিয়টস মুভিটা যখন রিলিজ হয়, তখন আমি ক্লাস নাইনের ছাত্র। পরিবারের চাপে বেছে নিয়েছি সায়েন্স। ফিজিক্স-কেমিস্ট্রির ক্রমবর্ধমান চাপে বেহাল দশা। তখন মুভিটা ছোট্ট মনে যা ছাপ ফেলেছিল, বলার মতো না। তারপর থেকে কতবার যে দেখেছি ইয়ত্তা নেই।
মুভিটা যে উপন্যাস থেকে অ্যাডাপ্টেড, সেটা জানতে পারি বছর দুয়েক আগে। খুঁজে খুঁজে অনুবাদ না পেয়ে পড়ে ফেলি ইংরেজিটাই। মুভির কাহিনীর সাথে পুরোপুরি মেলে না যদিও, তবে থিম একই। মুভিটার প্রতি অন্য রকম এক আকর্ষণ কাজ করে, তাই সাজিদ ভাই যখন গত সপ্তাহে এই বইটা অনুবাদের প্রস্তাব দিলেন, মনে মনে একটু খুশিই হলাম।
পঞ্চম অনুবাদ। নভেম্বরের মাঝামাঝি দিকে আসছে আদী প্রকাশনের ব্যানার থেকে।
ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান
মূলঃ চেতন ভগত
প্রচ্ছদ এবং অনুবাদকঃ আদনান আহমেদ রিজন
কাহিনী সংক্ষেপঃ গল্পটা তিন বন্ধুর- অলক, হরি আর রায়ান।
পড়ত ওরা আই.আই.টি.তে। একেবারে প্রথম কুইজেই গোলমাল করে বসল তিনজনই। সেটা শোধরাতে গিয়ে টের পেলঃ সিস্টেমের সাথে গোলমাল করলে, একই প্রতিদান দেয় সিস্টেমও।
কিছু বোঝার আগেই দেখা গেল, একেবারে নিচের সারির ছাত্র উপাধি পেয়েছে তারা। জি.পি.এ হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন এক চিহ্ন, যেটার ভার বয়ে বেড়াতে হবে সবসময়।
বন্ধুত্ব, ভবিষ্যৎ, প্রেম-গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুই নির্ধারণ করতে চাই এই জি.পি.এ। আই.আই.টির অন্যান্যরা যখন দুনিয়া শাসন করবে, এই নিচু শ্রেণির ছাত্ররা তখন ধুঁকবে বেঁচে থাকার জন্য।
খারাপ ছাত্রদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার আছে কি?
ওরা কি মুক্তি পাবে সিস্টেমের খপ্পর থেকে? পারবে সফল হতে?
প্রমাণ করতে পারবেঃ ওরা শুধু ফাইভ-পয়েন্ট-সামথিং জিপিএধারী নয়, ফাইভ-পয়েন্ট-সামওয়ান?
লেখকঃ আদনান আহমেদ রিজন