বই: অসূয়া
লেখক: জাভেদ রাসিন
প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৭
প্রচ্ছদ: জাভেদ রাসিন
পৃষ্ঠা: ১১০
কাহিনী সংক্ষেপ: ফুটফুটে বাচ্চা মেয়েটির নাম আফসারা, বয়স সাত বছর। বাবা তৌহিদ ও মা আফসানার চোখের মনি এই মেয়েটি গত দুমাস ধরে একটা মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই কারনে দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই বাবা-মায়ের চোখেও।
আফসারার সমস্যাটা হল দুঃস্বপ্ন। প্রায় মাস দুয়েক ধরে সে ভয়ঙ্কর সব দুঃস্বপ্ন দেখে মাঝরাতে জেগে উঠে কান্নাকাটি করছে। ডাক্তার-সাইকিয়াট্রিস্ট দেখিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাই একজনের পরামর্শে ইরফানের কাছে এই উদ্ভট সমস্যার সমাধানের জন্য সাহায্য চায় তৌহিদ।
ইরফান, সৌম্য চেহারার এক নিঃসঙ্গ যুবক। সৃষ্টিজগতের কিছু রহস্যজনক ব্যাপার নিয়েই তার কাজ-কারবার। যেসব রহস্য সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে, সেইসব রহস্যের জাল ছিন্ন করে বিপদাপন্ন মানুষকে সাহায্য করতে নির্দ্বিধায় এগিয়ে আসে এই শান্তশিষ্ট যুবক। আর তার এই কাজের হাতেখড়ি হয় সূদূর আরবে, মরুভূমির দেশে।
আফসারার চিকিৎসা করতে এসে ইরফানের চোখে পড়ে একটি বিচিত্র কালো রঙ্গের পুতুল। সেই পুতুলের মাথায় আবার নকল চুলের পরিবর্তে স্থান পেয়েছে মানুষের আসল চুল, আর কালো মুখের উপর আকা হয়েছে খুব কুৎসিত একটি হাসি। লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে ইরফান বুঝতে পারে ওই কুদর্শন পুতুলটার মাধ্যমেই যাদু করা হয়েছে ছোট্ট আফসারাকে। তারপর??? তারপরের অংশটুকু নাহয় বই পড়েই জেনে নিবেন।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: এই লেখকের আরেকটি বই পড়েছিলাম- তমিস্রা। সেটা খুব একটা ভাল লাগেনি, সেই তুলনায় এটা বেশ ভাল লেগেছে। সহজ-সাবলীল বাচনভঙ্গি আর কাহিনীতেও খুব বেশি মারপ্যাচ নেই, যদিও এসব বইয়ে মারপ্যাঁচ বেশি থাকলেই ভাল লাগে, তবে মারপ্যাঁচ কম থাকায় কাহিনীটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াটি লিখেছেনঃ Nahid Farhana
