আগামী বছরে ফেব্রুয়ারির মধ্যে চালু হচ্ছে ফোর-জি সেবা

0
আগামী বছরে ফেব্রুয়ারির মধ্যে চালু হচ্ছে ফোর-জি সেবা

দেশে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) টেলিযোগাযোগ সেবা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ চালু হতে যাচ্ছে। তার জন্য ফোর-জি নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে তরঙ্গ নিলাম নীতিমালাও চূড়ান্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফোর-জি চালুর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াও এর মাধ্যমে দেশে শুরু হয়ে গেল।

আগামী বছরে ফেব্রুয়ারির মধ্যে চালু হচ্ছে ফোর-জি সেবা

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের  চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী, ৯০০ ও ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা হিসেবে)। আর ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ২১৬ কোটি টাকা। ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজে ২৫ মেগাহার্টজ, ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজে ১৮ মেগাহার্টজ ও ৯০০ মেগাহার্টজে ৩ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামে বিক্রির জন্য তুলবে বিটিআরসি। তরঙ্গের এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি। নিলামে যারা জয়ী হবে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনপত্র বা নোটিফিকেশন পরের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে।

যে কোনো তরঙ্গে যে কোনো প্রযুক্তির সেবা দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা বা টেকনোলজি নিউট্রালিটির দামও ঠিক করা হয়েছে নীতিমালায়। এতে মেগাহার্টজ প্রতি তরঙ্গের দাম ধরা হয়েছে ৩২ কোটি টাকা, এটি এতদিন ছিল ৬০ কোটি টাকা। তবে এই দাম পেতে হলে একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছে যত তরঙ্গ আছে তার সবটাই প্রযুক্তি নিরপেক্ষ করতে হবে। সব তরঙ্গ প্রযুক্তি নিরপেক্ষ না করলে মেগাহার্টজ প্রতি দাম ৬০ কোটি টাকাই দিতে হবে।

বাংলাদেশে মোবাইল ফোন অপারেটররা বর্তমানে দ্বিতীয় (টুজি) ও তৃতীয় (থ্রিজি) প্রজন্মের সেবার জন্য তিনটি আলাদা ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করে। এই তিনটি ব্যান্ড হলো ৯০০, ১ হাজার ৮০০ ও ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা পেলে এই তিনটি ব্যান্ডের তরঙ্গ দিয়েই টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি (চতুর্থ প্রজন্ম) সেবা দিতে পারবে মোবাইল ফোন অপারেটররা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে