চট্টগ্রামে যারা বসে আফসোস করেন😒.. আহা যদি সিলেট যেতে পারতাম.. তাদের জন্য ফটিকছড়ির হাজারিখীল দিবে সিলেটের সামান্য স্বাদ😊।
যেভাবে যাবেন : ভোরের আরামের ঘুম ভাংগিয়ে আপনাকে চলে আসতে হবে অক্সিজেন। আর হ্যা ৯টার আগেই চলে আসতে পারলে বেটার(ঘুরার টাইম পাবেন বেশী)। অক্সিজেন থেকে ফটিকছড়ির বাস পাবেন। ভাড়া জনপ্রতি ৪০। বাসে তুলনামূলক ছোট হিসেবে ভালোই সার্ভিস দেয়…মোটামুটি ১.৩০ মিনিটের জার্নি, তাই চাইলে ঘুমিয়েও নিতে পারেন। বাসে আপনাকে নামতে হবে বিবিরহাট। বিবিরহাট নেমেই রোডের উলটা দিকে গিয়ে সিএনজি আছে, ওরা হাজারিখীল বাজার পর্যন্ত জনপ্রতি ৩৫ টাকা করে নেয়। আপনি বলে সিনজি নিবেন হাজারীখীল বন্য প্রাণির অভয়ারণ্য পর্যন্ত (৫টাকা বেশী করে দিলেই হবে)। হাজারিখীল বাজার থেকে অভয়ারণ্য ১০মিনিটের পথ। সিএনজি তে করে যেতে আপনি পাবেন অন্যরকম ফিলিং.. দুইপাশে কখনো পাকা ধানক্ষেত, কখনো চা বাগান আর প্রাণ জুড়ানো ঠান্ডা বাতাস। অভয়ারণ্য এর এরিয়াতে ঢুকেই দেখবেন হাতের বামপাশে বিশাল চা বাগান (৫০+একর) আর ডান পাশেই সিড়ি বেয়ে উঠেই বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য, মাঝে মাঝে বসে রেস্ট নেওয়ার জন্য ছাওনি। অভয়ারণ্য তে বেশীক্ষণ না থেকে আমরা বাম দিকের চা বাগানে চলে গেছিলাম। বিশাল এরিয়ায় অনেক্ষণ ঘুরলাম। এখানে আপনি হারিয়ে যাবেন চা বাগানের বাতাস আর মাঝের দৃষ্টিনন্দন রোডের মায়ায়। কি চমৎকার😊!!! খানিক সময়ের জন্য হলেও মনে হবে পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করতে পারলেই ভালো হতো।
তারপর অভয়ারণ্য প্রবেশের গেটের ডান পাশেই আছে আরেকটি চমকপ্রদ এডভ্যান্সার। যার জন্য সত্যিই আপনাকে সাহসী হতে হবে। হ্যা একটু বেশীই সাহসী হতে হবে।
সিলেটের হবিগঞ্জের সাতছড়ি উদ্যানের মত ট্রি এক্টিভিটিস। গেটে ঢুকেই একজন কর্মকর্তার কার্যালয় ওখানেই খুজে পাবেন একজন আংকেল বা গাইড কে…যিনি আপনাদের নেইম এন্ট্রি করিয়ে টাকা টা নিয়ে দেখিয়ে দিবে। ট্রি এক্টিভিটিসের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা নেওয়া হয়। এরপরেই আপনাকে জ্যাকেট মতো পরিয়ে, হেলমেট যাবতীয় সব পরিয়ে দিবে। এবার আপনার সাহসের পালা…
দুপুরের খাবারের জন্য অভয়ারণ্য তে একটা ভাত ঘর আছে জনপ্রতি ১৩০ টা নেয় প্যাকেজ। তবে আমরা ব্যক্তিগত কারণেই বিবিরহাট এসেই খেয়েছি।
আসার পথ সেইম.. আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে অভয়ারণ্য গেইটেই পেয়ে যাবেন সিএনজি নতুবা হেটে হাজারিখীল বাজারে এসেই নিতে হবে।
বি.দ্র:- বন্য প্রাণীর বা চা বাগানের ক্ষতি করবেন না।
লেখকঃ আলাউদ্দিন রাকিব