শেরপুর ভ্রমন সমাচার

0
মধুটিলা ইকো পার্কের চুড়া থেকে
মধুটিলা ইকো পার্কের চুড়া থেকে

নাকুগাও স্থলবন্দর: বিখ্যাত কোন স্পট নয় অথবা আহামরি কিছু নাহ। তবে ভারত বাংলাদেশের আরেক হিলি বন্দর হতে যাচ্ছে এই নাকুগাও স্থলবন্দর। ওপাশে তো আর যেতে পারিনি এপাশে থেকেই দেখা যাচ্ছে বি এস এফ এর টহল/ক্যাম্প।

আপনি মধুটিলা দর্শন শেষে অটোতে করেই যেতে পারবেন নাকুগাও স্থলবন্দর।

ভোগাই নদী। পানিহাটা তীরবর্তী।
ভোগাই নদী। পানিহাটা তীরবর্তী।

পানিহাটা: গন্ত্যব্যস্থলে পৌছার আগ পর্যন্ত শুধু পানি হাতা পানি হাতা উচ্চারন করছি। এখানে মূলত একটি মিশনারিজ চার্চ আছে এ ছাড়া আরর তেমন কিছুই পেলাম নআহআহ তবে। আরেকটু সামনে এগুলেই ভোগাই নদী/নদীর পাড়। অল্প একটু সরু নদী তার উপাড়েই ভারতের সীমানা। আমরা তো না জেনেই নদিতে ঝাপাঝাপি করেছি। পরে বিজিবি এসে আমাদের হুশিয়ার করে।
পানিহাটা তীরবর্তী ভোগাই নদী। ব্রীজ টি ভারতের অংশে।
পানিহাটা তীরবর্তী ভোগাই নদী। ব্রীজ টি ভারতের অংশে।

শেরপুর নালিতাবাড়ি র যে কোন স্থান থেকে অটোতে করে নাকুগাও হয়ে যেতে পারেন। পানিহাটা।

মধুটিলা ইকোপার্ক: ভারত সীমান্তসংলগ্ন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মধুটিলায় গড়েউঠেছে ইকো পার্ক ।চারদিকে সবুজে ঘেরা এই পার্কে রয়েছে ছোট ছোট অনেক টিলা পাহাড়। মুটামুটি নিরিবিলি, অনেক রাস্তায় মানুষের পা পরে না বলে সবুজ হয়ে রয়েছে ।
পাহাড়ের চূড়ায় সাইট ভিউ টাওয়ারে উঠলেই চোখ জুড়িয়ে যায় সীমান্ত পেরিয়ে উঁচু উঁচু পাহাড় আর সবুজ অরণ্যের মনোরম দৃশ্য দেখে। দূরের অরণ্যকে একটু কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হলেও এর সৌন্দর্যের কোনো কমতি নেই। গারো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে যত দূর এগোনো যায়, ততই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহ।

মধুটিলা ইকো পার্ক
মধুটিলা ইকো পার্ক

যাতায়াতঃ ঢাকা > শেরপুর > নলিতাবাড়ি>নন্নী বাজার>মধুটিলা ইকো পার্ক।ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি নালিতাবাড়ী পর্যন্ত গেটলক সার্ভিস রয়েছে।অথবা শেরপুর ড্রিমল্যান্ড বাসে এসে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজার পর্যন্ত লোকাল বাস সার্ভিস রয়েছে। নন্নী বাজার থেকে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ভাড়ায় পাওয়া যায়।

তবে খাবার দাবারের মান অত্যন্ত বাজে তাই অনুরোধ থাকবে। খাবার দাবার শেরপুরে এসেই খাবেন।

গজনী অবকাশ কেন্দ্র: পাহাড় আর জঙ্গল যেখানে মিলেমিশে একাকার…!!!

গজনী অবকাশ
গজনী অবকাশ

শেরপুরে ঢুকতেই প্রবেশ পথে একটা পাথরের হাতি শুঁড় তুলে আমন্ত্রণ জানায়। ওটাকে দেখে প্রথমেই আমার মনে প্রশ্ন এল, শের মানে তো বাঘ। হাতির সাথে শেরপুরের সম্পৃক্ততা কী? গজনী অবকাশকেন্দ্রে যাওয়ার সময়েও একই প্রশ্ন খোঁচাতে লাগলো। গজনী মানে তো হাতি। হাতি নিয়ে এত মাতামাতি কেন?

গজনী যাওয়ার পথেই পেয়ে গেলাম জবাব।

কৃত্তিম লেক, গজনী অবকাশ, ঝিনাইগাতী।

বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা বলতে পার্বত্য চট্টগ্রামকেই জানতাম। ঢাকা বিভাগেও পাহাড়ের সারি আছে, না দেখে যেন বিশ্বাসই করা যাচ্ছিল না। গজনীতে যাওয়ার রাস্তাটা খুব চমৎকার। পাহাড়ের ঢালে চড়াই-উৎরাই দিয়ে নদীর মতো এগিয়ে গিয়েছে। একপাশে সারিবাঁধা পাহাড়, তো অন্যপাশ সমতল। পাহাড়গাত্র কিংবা সমতল- সব জায়গাতেই সারি সারি শাল, সেগুন, মহুয়া, গজারী, আকাশমণি, ইউকেলিপটাস, মিলজিয়ামসহ আরো নাম না জানা কত শত পাহাড়ি গাছ, বনফুলে ছেয়ে আছে।

তারই একধারে দেখতে পেলাম বিশাল এক সাইনবোর্ড। শিরোনামে বড় বড় করে লেখা, “মানুষ ও হাতির বিরোধে করণীয়”! চলন্ত অটো থেকে যেটুকু পড়তে পারলাম, তা থেকে জানা গেল যে, এই এলাকায় আছে বন্য হাতির অবাধ বিচরণ। মানুষের পক্ষ থেকে হাতির, কিংবা হাতির পক্ষ থেকে মানুষের যেন কোনো ধরনের বিপত্তি না বাঁধে, তার জন্যই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনামা।

গজারি বনের মধ্যিখানে এগিয়ে গিয়েছে রাস্তা: আরেকটু সামনে এগুতেই ছোট একটা সাইনবোর্ডে লেখা দেখলাম, “সাবধান! হাতি চলার রাস্তা!”
খুব সাধারণ একটা রাস্তা। দেখে বোঝার উপায় নাই যে এই পথ দিয়ে হাতি চলাচল করে।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের একটা অংশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে গজনীর মন ছুঁয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সৌন্দর্য। পাহাড়, বন, ঝর্ণা, হ্রদ এতসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যেও কৃত্রিম সৌন্দর্যের অনেক সংযোজনই রয়েছে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে।

গারো পাহাড়ের সারি: বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা গজনীর একেকটা কীর্তি একেক জায়গায়। তাই প্রবেশ পথ থেকে কয়েক পা সামনে এগোলেই এক বিশাল সাইনবোর্ডে গজনীর বিভিন্ন অংশের মানচিত্র আঁকা আছে। প্রথমে বুঝতেই পারিনি এটা এত বড়! দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম এই ভেবে যে কোত্থেকে শুরু করবো।

চমকপ্রদ ব্যাপার হলো এই গজনী ব্রিটিশ আমল থেকেই পিকনিট স্পট হিসেবে পরিচিত। দেখে অবশ্য বোঝা যায় না এত পুরোনো। নিশ্চয়ই নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়।

‘স্বাধীনতার একাত্তর’ নামের স্মৃতিসৌধ দর্শনার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি এবং চেতনা”

সমতল ভূমি থেকে অবকাশ ভবনে ওঠানামা করার জন্য পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে দু’শতাধিক সিঁড়িসহ আকর্ষণীয় আঁকাবাঁকা ‘পদ্মসিঁড়ি’। ল্যান্ডিংয়ে একটা ছাউনি তৈরি করা হয়েছে পদ্মপাতার আদলে। ‘পদ্মসিঁড়ি’র পাশেই গজারী বনে কাব্য প্রেমীদের জন্য কবিতাঙ্গনের গাছে গাছে ঝোলানো আছে প্রকৃতি নির্ভর রচিত কবিতা।

পদ্মসিঁড়ি দিয়ে সমতলে নামতেই চোখ পড়ল একটি প্রাচীন বটগাছের ওপর। শত শত ঝুরি নেমে এসেছে মগডাল থেকে। বটগাছের বিশাল গোল চত্বরটি শান বাঁধানো। শান বাঁধানো সেই বিশাল বটগাছটির ছায়ায় চারপাশে দলবদ্ধ হয়ে বসে আড্ডায় মেতে উঠেছে পিকনিক দলগুলো।

বটগাছের একপাশে অনেকখানি খালি জায়গা। ওখানটায় পিকনিকে আসা বাসগুলো পার্ক করা হয়েছে। সেই সাথে খোলা ময়দানে বিশাল বিশাল উনুন ধরিয়ে, তাতে হাড়ি-পাতিল চাপিয়ে পিকনিকে আগত মানুষগুলোর জন্য রান্না করা হচ্ছে।

পদ্মসিঁড়ি: পূর্বদিকে প্রায় ২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে জিহান অবকাশ ভবন। গারো পাহাড়ের পাদদেশে স্বচ্ছ পানির লেকের উপর ভাসমান দোতলা ভবনটা যে কী সুন্দর! শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে তোলা এই ভবনে আছে ৬টি কক্ষ। ভ্রমণপিপাসুরা চাইলে এখানে বিশ্রাম নিতে পারে। এটি ছাড়াও লেকের মাঝে কৃত্রিম দ্বীপ ও দ্বীপের উপর রয়েছে লেকভিউ পেন্টাগন। অবসর দ্বীপে যাতায়াতের জন্য রয়েছে স্টিল রোপের ওপর নির্মিত ঝুলন্ত সেতু। কৃত্রিম লেকে নৌ বিহারের জন্য আছে বিদেশী ‘প্যাডেল বোট’ আর আকর্ষণীয় ‘ময়ূরপংঙ্খী নাও’। আমরা সেদিকে না গিয়ে ঝুলন্ত ব্রিজ পেরিয়ে পাহাড়ে উঠলাম। এক ঝলক ঠাণ্ডা বাতাস পাহাড় চড়ার ক্লান্তি দূর করে দিল নিমেষেই।

পুরো পাহাড় পেরিয়ে খোলা মাঠে নেমে দেখি মাঠ পেরিয়ে বিপরীত দিকের পাহাড়ের চূড়ায় ওয়াচ টাওয়ারের মাথা দেখা যাচ্ছে। ভাবলাম, ওয়াচ টাওয়ারে উঠে উপর থেকে পুরো এলাকাটা ভালো করে দেখে নিই, তাহলে বুঝতে পারবো কোথায় কী আছে।

জিহান অবকাশ কেন্দ্র: অনেকখানি পাহাড় বেয়ে উঠতে হলো ওয়াচ টাওয়ারের গোড়ায়। এটাই মনে হয় এই এলাকার সবচেয়ে উঁচু চূড়া। এই ‘সাইট ভিউ টাওয়ার’টির উচ্চতা ৬৪ ফুট। পাহাড় বেয়েই হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম। একবারে দশ তলা উঁচু টাওয়ার বেয়ে উঠতে রীতিমতো কসরত করতে হয়েছে। পাহাড়ি বনভূমির গুমোট গরম ছাড়িয়ে ওয়াচ টাওয়ারে উঠে ভালো লেগেছে এই জন্য যে, উপরের বাতাসটা শান্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছিল।

টাওয়ারের চূড়া থেকে একদিকের ভারত সীমান্ত দেখা যায়। যদিও আলাদা করে চেনা যায়নি। সীমান্তবর্তী বনভূমির সবুজ গাছগাছালি, দূরের উপত্যকা, অধিত্যকা, ঝর্ণা আর বিস্তীর্ণ ফসলি ক্ষেত। বাইনোকুলার নিয়ে এলে হয়তো আরোও দূরের জিনিস দেখা যেত। অনেকেই দেখলাম বাইনোকুলার নিয়ে এসেছে। টাওয়ারে ওঠার জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা লাগে। টিকিট চেকারের কাছে বাইনোকুলার ভাড়াও পাওয়া যায়।

এখান থেকে আমরা গেলাম ঝর্ণাটা দেখার জন্য। কৃত্রিমভাবে বানানো ওই ঝর্ণা আমাকে খুব একটা টানলো না। তবে পানি প্রবাহিত হবার জন্য যে ধাপগুলো তৈরি করা হয়েছে তা সত্যিই শৈল্পিক।

ঝর্ণার পাশেই মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৩৩ ফুট উচ্চতার এক ডাইনোসর। না, না, চমকে উঠবেন না। জীবিত ডাইনোসর নয়। পাথর দিয়ে বানানো। ঝিলের পাড়ে বানানো হয়েছে পাথরের জলপরী। সফেদ এই জলপরীটাকে দেখে মনে হয়, জল থেকে সদ্য উঠে এসে ক্লান্ত-শ্রান্ত ভঙ্গীতে বসে আছে।

পাথরের একটা ড্রাগনও আছে। মাটির নিচে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাতায়াতের জন্য ড্রাগনের মুখটাকে টানেল হিসেবে ব্যবহার করা যায়, অনেকটা পাতালপুরির মতো।

মৎসকুমারী: এছাড়াও আছে গ্রীক ধারায় বানানো ফোয়ারা। চৌবাচ্চায় দুইটি হাঁস এবং পানির খেলা চলে। ২৫ ফুট উচ্চতার এক জিরাফও দাঁড়িয়ে আছে ঘাড় উঁচু করে। এগুলোর সবকটিই সাম্প্রতিককালে বানানো।

এসব ছাড়াও গজনী অবকাশ কেন্দ্রে রয়েছে ক্রিসেন্ট লেক, লেকের ওপর রংধনু ব্রীজ, কৃত্রিম জলপ্রপাত, পানসিতরী, প্যাডেল বোট, মুক্তিযুদ্ধ স্মুতিসৌধ, শিশু পার্ক, কবি নজরুল ইসলাম ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিফলক, লাভলেইন, কবিতাবাগ, হাতি, বাঘ, হরিণের প্রতিকৃতি। ইদানীং একটা ক্যাকটাস পল্লী এবং মিনি চিড়িয়াখানাও গড়ে তোলা হয়েছে।

ক্রিসেন্ট লেকের মাঝখানে নির্মিত হয়েছে জলপ্রপাত ‘নির্ঝর’। হ্রদ পেরিয়ে পশ্চিম পাহাড়ে যেতে চোখে পড়বে বর্ণিল সংযোগ সেতু ‘রংধনু’। ইকোপার্ক, অর্কিড হাউস, মিনি চিড়িয়াখানার হরিণ, বানরসহ আরো অনেক কিছুই চোখে পড়বে ভ্রমণ পিপাসুদের।

প্রবেশ ফি: গজনী অবকাশ কেন্দ্রে গাড়ি প্রবেশের জন্য উপজেলা পরিষদ চেকপোষ্ট থেকে বাস-কোচ, ট্রাক-৩০০ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকআপ, লেগুনা-১৫০টাকা, জিপ, কার,টেম্পু-১০০ টাকা এবং সিএনজি-৫০ টাকা দিয়ে গেটপাস নিতে হয়। এমনকি আমরা হেঁটে যাচ্ছিলাম, আমাদের কাছ থেকেও জনপ্রতি ১০ টাকা নিয়েছে, যদিও সাইনবোর্ডে ওরকম কিছু লেখা ছিল না। ওয়াচ টাওয়ারের জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা, শিশু পার্কের জন্য ১০ টাকা, প্যাডেল বোট ২০ মিনিটে ৬০ টাকা, পানসিতরী নৌকায় জনপ্রতি ১০ টাকা এবং পাতালপুরি ড্রাগন ট্যানেলে জন প্রতি ১০ টাকা প্রদর্শনী ফি রয়েছে।

কীভাবে যাবেন: রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে যাতায়াতই সবচেয়ে উত্তম। উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল-জামালপুর হয়েও আসতে পারেন সড়ক পথে। শেরপুর শহর থেকে গজনীর দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সরাসরি মাইক্রোবাস অথবা প্রাইভেট কারে গজনী অবকাশ যেতে পারেন। ঢাকা থেকে নিজস্ব বাহনে মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায় ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশে আসা যায়। এ ছাড়া ঢাকার মহাখালি থেকে ড্রিমল্যান্ড বাসে শেরপুর আসা যায়। ভাড়া ২৫০ টাকা।

মহাখালী থেকে দুপুর ২টায় ছাড়ে এসিবাস। ভাড়া ৩৫০ টাকা একটু হেরফের হতে পারে। এছাড়া ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়াম ৪ নং গেইট থেকে সরাসরি বিকাল ৩-৪টায় শিল্প ও বণিক সমিতির গাড়ী ঝিনাইগাতীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ভাড়া ৩০০ টাকা। যারা ড্রিমল্যান্ডে আসবেন, তারা শেরপুর নেমে নিউমার্কেট থেকে মাইক্রোবাস ৫০০ টাকায় সোজা গজনী যেতে পারবেন। শেরপুর থেকে লোকাল বাস, টেম্পু, সিএনজি অথবা রিক্সায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে যাওয়া যায়। শেরপুর থেকে আনুমানিক দূরত্ব ৩০ কি:মি:। সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ৫৫ টাকা। এখানে আসার জন্য সড়ক পথে যাতায়াত খুব সহজ। গজনী অবকাশ পর্যন্ত রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মসৃণ পিচঢালা পথ।

কিছু কথা: মনে রাখবেন নিজ গন্ডির বাহিরে যেখানেই যান নাহ কেন স্থানীয় দের সাথে ভালো ব্যাবহার করুন। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না। আর হ্যা বর্ডার এলাকাতে ভ্রমনে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করুন।

বিদ্রঃ সবার নির্বিঘ্নে ভ্রমন সুবিধার্থে অনেক তথ্যেই সংগৃহিত। তাই ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।

-Palash