বইঃ দ্যা সাইলেন্স অভ দি ল্যাম্বস
লেখকঃ টমাস হ্যারিস
অনুবাদকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
প্রকাশকালঃ ২০০৬
প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী
প্রচ্ছদঃ ডিলান
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩১৯
মূল্যঃ ২৪০ টাকা মাত্র
রিভিউঃ একের পর এক মেয়ে নৃশংসভাবে খুন হচ্ছে। বাফেলো বিল ছদ্মনামে একজন সিরিয়াল কিলার এই খুনগুলো করার পর ভিক্টিমের গা থেকে চামড়া তুলে নিচ্ছে। কোনওভাবেই খুনিকে ট্রেস করতে পারছেনা এফবিআই। এরমধ্যে মিসিং হল সিনেটরের মেয়ে, বাফেলো বিল এর পরবর্তি শিকার।
এফবিআই সিদ্ধান্ত নিল এই কেসের জন্য তারা আরেকজন সিরিয়াল কিলারের সাহায্য নিবেন। ডঃ হানিবল লেকটার পেশায় একজন সাইক্রিয়াটিস্ট ছিলেন। হঠাৎ করে সে সাইকো সিরিয়াল কিলার হয়ে উঠে। সে খুন করে ভিক্টিমের অঙ্গ প্রতঙ্গ খেয়ে ফেলতো, তাই তাকে লোকজন “হানিবল দ্যা ক্যানিবল” নামেই ডাকে। কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলার আট বছর ধরে একটা সুরক্ষিত জায়গায় বন্দি আছে। এফবিআই এর আচরন বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মি. ক্রফোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেন লেকটারের সাথে কথা বলার জন্য শিক্ষানবিশ ক্ল্যারিস স্টার্লিং কে পাঠাবেন।
কথামত স্টার্রলিং যায় লেকটারের সাথে কথা বলতে। হানিবল লেকটারের যে বুদ্ধিমত্তা সে ইচ্ছা করলেই বাফেলো বিলের প্রকৃত পরিচয় ধরে ফেলতে পারবে। এখন কথা হচ্ছে গিয়ে, লেকটার কি সাহায্য করবে বাফেলো বিলকে ধরতে? নাকি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করবে?
ব্যক্তিগত মতামতঃ এখন পর্যন্ত আমার পড়া সবথেকে শ্রেষ্ঠ সাইকো থ্রিলার এটা। এর আগে রবার্ট ব্লচ এর সাইকো পড়ে ভাল লেগেছিল। এবার সাইলেন্স অভ দ্যা ল্যাম্বস পড়ার পর সাইকোর জায়গা দখল করে নিয়েছে এটা। ওয়ার্ল্ড ক্লাস সাইকো থ্রিলার এটা। তাছাড়া বইয়ের নামকরণটা ভাল লেগেছে। হানিবল ও রেড ড্রাগন নামে এর আরও দুইটা পার্ট আছে। খুব শিঘ্রই পড়ব। তবে নাজিম উদ্দিন সাহেবের অনুবাদ নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই, বরাবরের মতই ভুলে ভর্তি, গালাগালি ভর্তি। “পোঙ মারা” গালিটা উনি কি বুঝে ব্যবহার করলেন আমি বুঝে পাইনি।
বিঃদ্রঃ রিভিউ ব্লক এ ভুগছি, তাই ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
পাঠ প্রতিক্রিয়াটি লিখেছেনঃ মাসুম আহমেদ আদি