বিছনাকান্দি, রাতারগুল, নাফাকুম আর ইন্ডিয়ার পোষ্ট দেখতে দেখতে বিরক্ত। চলুন নতুন কিছু করা যাক, নতুন বলতে একদম নতুন বা ভিন্ন কিছু যা এর আগে হয়ত হয়নি। চলুন নদী পথে ঘুরে আসি কক্সবাজার থেকে, সাথে দেখে নেব বেশ কয়েকটা দ্বীপ।
যেভাবে যাবেন- শুরুটা হবে সদরঘাট থেকে প্রতিদিন এখান থেকে হাতিয়ার দিকে লন্চ ছাড়ে বিকেল ৫ টায়, পৈাছে যায় সকাল ৭ টার মধ্যে। ওইদিনই জাহাজ ধরতে পারেন। হাতে সময় নিয়ে গেলে অবশ্যই ওই দিনটা হাতিয়া দেখে নিন। চলে যেতে পারেন পাশের নিঝুমদ্বীপ। হাতিয়া দ্বীপ থেকে জাহাজ ছাড়ে খুব সম্ভবত সকাল ১০ টায়, উঠে পরূন, এটা অাপনাকে সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে সোজা চট্রগ্রাম পৈাছে দেবে বিকেলের অাগেই, রাতটা কাটাতে হবে চট্রগ্রাম পরদিন খুব সকালে ৭টায় একটি ট্রলার ছাড়ে কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে, চট্র্রগ্রাম সদরঘাট থেকে। উঠে পরুন একমাত্র ট্রালারটিতে। ট্রলার চলতে শুরু করার ৩০ মিনিটের মধ্যে অপিনি চলতে শুরু করেবন সমুদ্র দিয়ে, এভাবে যেতে থাকুন দুপুর ২ টা পর্যন্ত। হাতে অনেক সময়, ইচ্ছে করলে কল্পনা করেত পারেন অাপনাকে পাচার করা হচ্ছে মালয়শিয়া বা মায়ানমার কারন এভাবেই কিছুদিন অাগে এই রুট ধরে মানুষ পাচার করা হত। যাই হোক দুপুর ১ টা নাগাদ আস্তে অাস্তে চোখের সমনে ভেষে উঠবে কুতুবদিয়া। নেমে পরুন অসাধারন সুন্দর এই দ্বীপটিতে। মোটামুটি মানের একটি অাবাসিক হোটেল অাছে। দুপুরে খেয়ে রেষ্ট করে চলে যেতে পারেন দেশের একমাত্র বায়ুবিদুৎ কেন্দ্রে (যদিও নষ্ট ) এখন ঠিক হয়েছে কিনা জানিনা। তারপর হাটতে থাকুন বাংলাদেশের দ্বীতিয় বৃহৎ সমুদ্র সৈকত ধরে, মন ভেরে নিশ্বাস নিন উপভোগ করুন অাশে পাশের নিস্তব্ধতা অার সহজ সরল লোকজনের জীবনযাত্রা। রাতটা থাকেতে হবে কুতুবদিয়াতেই, চাইলে দেখে নিতে পারেন এখানকার লাইট হাসউ। সবচেয়ে ভালো হয় কাউকে জিগেস করে নিন এই অসাধারন সুন্দর দ্বীপটিতে অার কি কি অাছে দেখার মত। পরদিন সকাল ৯ টায় অাবারও ট্রলার ধরতে হবে। এবার যাত্রা মহেশখালী, যেতে পথে চখে পরবে মাছধরা, লবন চাষ, লোকাল মানুষ জন, মন ভরে দেখে নিন যা পাবেন তার সবটুকু। দুপুর ২ টার মদ্ধে ট্রলার চলে অাসবে মহেসখালি দ্বীপ্। নেমে গিয়ে চষে বেরান মহেষখালি অার সোনদীয়া দ্বীপ। ভ্রমন ক্লান্তি পেয়ে বসলে ট্রলার থেকে না নেমে সরাসরি চলে যান কক্সবাজার। অার এভাবেই মাত্র ২৫০০-৩০০০ টাকায় অপানি শেষ করে ফেলেত পারেন নদী বা সমুদ্র পথে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের অদ্ভুত সুন্দর একটি যাত্রা।
সতকর্তা- ভ্রমনটি একটু সময় সাপেক্ষ অার যেহেতু পুরোটাই বিশাল বিশাল নদী আর সমুদ্র পথ তাই এতটু রিস্কিও। প্রচন্ড ধৌর্য অার সাহস দরকার। এই দুটো জিনিস সাথে থাকলে বেরিয়ে পরতে পারেন, এটা হতে পারে জীবনের ষ্রেষ্ঠতম একটি অভিজ্ঞতা। অামি সাথে কাউকে পাইনি তাই একাই করেছিলাম ট্রিপটি, জানিনা বাংলাদেশে এটা প্রথম হল কিনা তবে অামার কাছে খুবই সহজ মনে হয়েছে।
লেখকঃ Nasir Ahmed Saurav