সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের ২য় দিন অনেকটাই ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। দু-একটি দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও সড়কটি পুরোপুরি তিন চাকার দখলে। চলছে পণ্যপরিবহন, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ ব্যক্তিগত পরিবহন।
আজ শনিবার সকাল থেকেই এই চিত্র মহাসড়কে। এ সময় উত্তরবঙ্গ থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছে শ্যামলী পরিবহনের একটি এসি বাস ও টাঙ্গাইলে প্রবেশ করছে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের একটি যাত্রীবাহী বাস। এছাড়াও মহাসড়ক হয়ে থ্রি-হুইলারে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলাসহ চন্দ্রা পর্যন্ত চলাচল করছেন যাত্রীরা।
মহাসড়কে অপেক্ষারত নজরুল ইসলাম নামের এক পোশাক শ্রমিক বলেন, “ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসছিলাম। কাজ করি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায়। বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। রাত থেকেই ডিউটি। রাস্তায় বাস নাই, রিকশায় ১০০ টাকার ভাড়া চাচ্ছে ২০০ টাকা।”
স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সোনা মিয়া বলেন, “মহাসড়কে ভোর থেকে ৪-৫ টা বাস দেখেছি। তবে বাসগুলোতে যাত্রী ছিল কিনা দেখি নাই। গতকাল যেভাবে বাস চলছে আজকে সেটি দেখা যাচ্ছেনা।”
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা। এ সড়কে পণ্যপরিবহনে নিয়োজিত আর কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া তেমন একটা যানবাহনের চাপ নেই। দূরপাল্লার বাস নেই। এরপরও কোনো বাস মহাসড়কে দেখলেই মামলা দেয়া হচ্ছে।”
