বিপদজনক গ্রহাণুর উপর পারমাণবিক বোমা প্রয়োগ করা হবে

0
গ্রহাণু

মহাকাশে কত গ্রহাণুই তো চলাফরা করে। তারা একে অপরকে ধাক্কা মারে। তারই কিছু ছুটে আসে পৃথিবীর দিকে। এমনই এক গ্রহাণু বেণু। ২০৩৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে জোর ধাক্কা মারতে চলেছে এই গ্রহাণুটি। তবে স্বস্তির কথা এই যে, এই গ্রহাণু ধ্বংস করার উপায় আবিষ্কার করে ফেলেছে নাসা। পৃথিবীতে পৌঁছনোর আগেই পারমাণবিক বোমার সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব এই গ্রহাণুকে। সম্প্রতি নাসা এই খবর জানিয়েছে।
গ্রহাণু
তবে এই গ্রহাণু বেণুর পৃথিবীতে ধাক্কা মারার সম্ভাবনা খুব কম। ২ হাজার ৭০০ ভাগের মধ্যে মাত্র এক ভাগ। কিন্তু তাও ঝুঁকি নিতে চাইছে না আমেরিকার প্রশাসন। যেভাবেই হোক, সেটিকে প্রতিরোধ করতে চাইছে তারা। আপাতত গ্রহাণুটি পৃথিবী ও সূর্যের কক্ষপথ থেকে ৫৪ মিলিয়ন মাইল দূরে রয়েছে। তবে গ্রহাণুটি আকারে খুব বড়। প্রায় ৫০০ মিটার। তাই পৃথিবীর কাছে এটি ভয়ের কারণ হতে পারে।

তবে নাসা সেই আশঙ্কা থেকে পৃথিবীবাসীকে অব্যাহতি দিয়েছে। যদি গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছে আসার চেষ্টা করে, তবে তার উপর পারমাণবিক বোমা প্রয়োগ করা হবে। এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে HAMMER (Hypervelocity Asteroid Mitigation Mission for Emergency Response)।

দুইভাবে এই HAMMER কাজ করতে পারে। প্রথমত, যদি গ্রহাণুর আকার ছোটো হয়, তাহলে এটি দিয়ে আঘাত করে গ্রহাণুটিকে দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ৮.৮ টনের ইম্পেকটর একে ধুয়েমুছে সাফ করে দিতে পারে। কিন্তু যদি এর আকার বড় হয়, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে। তবে এই আইডিয়ার কথা সম্পূর্ণ প্রকাশ করা হয়নি। ২০১০ সালে একটি রিপোর্ট থেকে HAMMER-এর আইডিয়া আসে।

নাসা জানিয়েছে, এবছর OSIRIS- REx-এর কাছাকাছি যাবে বেণু। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ২০২৩-এর মধ্যে সেই নমুনা পৃথিবীতে পৌঁছে যাবে। তারপরই প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। তার আগে কিছু জানানো সম্ভব নয়।