মোবাইল অপারেটরগুলোকে ইন্টারনেটের ভ্যাট কমাতে এনবিআরের নির্দেশনা

0
মোবাইল অপারেটরগুলোকে ইন্টারনেটের ভ্যাট কমাতে এনবিআরের নির্দেশনা

গ্রাহকদের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ হারেই ভ্যাট কাটছিল সব মোবাইল ফোন অপারেটর। যদিও গত ১ জুলাই থেকেই ইন্টারনেটের ভ্যাট ৫ শতাংশ করে দিয়েছিল সরকার।কিন্তু গত বুধবার বিকালে মোবাইল অপারেটরগুলোকে অনতিবিলম্বে ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আদায়ের নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর।

সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ভ্যাট ১০ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে আনলে নিজেদেরকে ইন্টারনেট সংস্থা’র বাইরে রাখতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন নতুন কৌশল হিসেবে এনবিআরকে বলে, তারা মোবাইল ফোন অপারেটর, ইন্টারনেট সংস্থা নয়। ফলে তাদের ওপর এই নির্দেশনা কার্যকর হবে না।

গত বুধবার এনবিআরের নির্দেশনা অনুসারে এখন আর বিকল্প কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেখা গেছে মোবাইল অপারেটররা এই নির্দেশনা কার্যকর করেনি।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনও এর আগে দুই দফা অপারেটরদেরকে গ্রাহক পর্যায়ে ভ্যাট হার কমানোর নির্দেশনা দেয়। কিন্তু তাতেও মোবাইল ফোন অপারেটররা কর্ণপাত করেনি।

তবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা সরকারের আদেশ মেনে গ্রাহক পর্যায়ে ভ্যাট হার কমানোর সিদ্ধান্ত জানায়। ইন্টারনেটের ভ্যাট ৫ শতাংশ করায় এর রেয়াত সুবিধা পাবেন না কোনো অপারেটর। ফলে গ্রাহকদের খরচ খুব একটা কমবে না বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলোসহ খোদ এনবিআর কর্মকর্তারাই।

সব মিলে সরকার ইন্টারনেটর ভ্যাট হিসাবে বছরে ১১’শ কোটি টাকার মতো আয় করতো। সেই হিসাবে এর মধ্যে চার সপ্তাহে মোবাইল ফোন অপারেটরেরা ইন্টারনেটের ভ্যাট হিসেবে আগের রেট অনুসারে গ্রাহকের কাছ থেকে ৭০-৮০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এখন এই টাকার কি গ্রাহকদেরকে ফেরত দেওয়া হবে কিনা সেটির বিষয়ে অবশ্য এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।