লাইসেন্স না নিলে চাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

0
চাল-ব্যবসায়ীদের-বিরুদ্ধে-ব্যবস্থা

চালের আমদানিকারক, মজুদদার, আড়তদার, পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের খাদ্য অধিদফতর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে লাইসেন্স নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এছাড়া ১৫ দিন অন্তর চাল ব্যবসায়ীদের গুদামে মজুদ করা চাল ও গমের হিসাব স্থানীয় খাদ্য দফতরকে অবহিত করতে হবে।
চাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সোমবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত জেলা ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (আরসি ফুড ও ডিসি ফুড) সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন। সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

কামরুল ইসলাম বলেন, আরসি ফুড ও ডিসি ফুড কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা এলাকায় ফিরে গিয়ে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবসায়ীদের নোটিশ দেবেন। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবসায়ীদের অবশ্যই লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। যেসব ব্যবসায়ী লাইসেন্স নেবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬ আইনের আওতায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আইনের আওতায় একজন ব্যবসায়ী তিনশ মেট্রিক টন চাল ও গম তার গোডাউনে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মজুদ রাখতে পারবেন। যদি এ সময়ের মধ্যে তার পণ্য বিক্রি না হয় তাহলে ১৫ দিন পরপর মজুদ পণ্যের তথ্য স্থানীয় খাদ্য দফতরকে জানাতে হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা তেল, চিনি, আটা, লবণের ব্যবসা করে তারাও এখন চালের ব্যবসা করছেন। তারা বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স নিলেও অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য দফতর থেকে লাইসেন্স নেননি। আমাদের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে সতর্ক ছিলেন না। আজকের এ বৈঠকে আমি কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চালের দাম নিম্নমুখী। এটি আরও কমবে। সরকারি গুদামে প্রতিদিনিই মজুদ বাড়ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে