উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের থাকা নিয়ে কয়েকজন সাংসদের ওপর রেগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তাঁর বক্তব্য হলো, গ্রামে এখন চিকিৎসকেরা থাকেন। সাংসদদের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক থাকেন না। রবিবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ ঘটনা ঘটে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আলোচনার শুরু করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন। তিনি গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন যে ব্যবস্থা আছে, সেটা যথেষ্ট ভালো। জবাবে মোতাহার হোসেন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকেরা থাকেন না। এ বক্তব্যেই খেপে যান অর্থমন্ত্রী। তিনি কিছুটা উচ্চ স্বরে বলেন, ‘আপনারা সব সময় এ অভিযোগ করেন। এখন যথেষ্টসংখ্যক চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকেন।’ এ সময় মোতাহার হোসেনসহ আরও দুই সাংসদ বলেন, গ্রামে চিকিৎসকেরা থাকেনন না।
কিছুক্ষণ পরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন নিজের এলাকা কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘দেশের ৪৯৪টি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে কাপাসিয়া ৮ নম্বর অবস্থানে আছে। সেখানে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা। আছে মাত্র দুজন। আমি দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য সপ্তাহে দুই দিন দুজন অ্যানেসত্থেসিয়াবিদকে ধার করে নিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকেরা পড়াশোনা অথবা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কথা বলে ঢাকায় চলে যান। এটাই বাস্তবতা। আমি খোলাখুলি বলে দিলাম।’সিমিন হোসেনের বক্তব্যের পরে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আর কিছু বলেননি। তবে তিনি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের পদটি সরকারিকরণের অঙ্গিকার করেন। এ পদটি এত দিন সরকারি ছিল না। অনুষ্ঠানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে নানা পরামর্শ দেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।