বইঃ “শী”
লেখকঃ হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
রূপান্তরঃ নিয়াজ মোরশেদ
প্রকাশনীঃ সেবা
প্রথম প্রকাশঃ ১৯৮৫
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৫৮
কাহিনী সংক্ষেপঃ দু’হাজার বছর ধরে অপেক্ষা করছে “সে”, তার ক্যালিক্রেটিস আসবে। যে দয়িতকে নিজ হাতে হত্যা করেছিল, পুনর্জন্ম নিয়ে আসবে সে তার প্রেম গ্রহণ করতে।
এলো ক্যালিক্রেটিস-
যার জন্য অপেক্ষা করে ছিল “সে” বিশ শতাব্দী ধরে। যাকে কয়েক শতাব্দী পূর্বে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল মিসরীয় সুন্দরী আমেনার্তাস।
অবশেষে তাকে অনন্ত যৌবন দেয়ার জন্যে, “সে” নিয়ে গেল রহস্যময় আগুনের কাছে…
তারপর?
পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ জানা কথা, পরীক্ষা নিকটে আসলেই যে কোনো অখাদ্য বইও সুখাদ্য লাগবে। কিছুই পড়ব না ঠিক করেও মোটামুটি ছোট দেখে ভাবলাম এটা ধরা যাক। বইয়ের মাঝামাঝি এসে মনে হলো ভুল করিনি। এডভ্যাঞ্জার আর শতাব্দী ধরে চাপা পড়ে থাকা কিছু রহস্য উন্মোচনের নেশায় বেরিয়ে পড়লো হলি, লিও আর জব। প্রতি পদে পদে বিপদ, ভয় আর অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর অবশেষে পৌছালো মধ্য আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের এক জংলী গোত্রে। দেখা হয় গোত্রীয় প্রধান “সে যখন মানতেই হবে” রহস্যময়ী রাণী আয়েশার সাথে। রাণীর সৌন্দর্যের বর্ণনা পড়তে পড়তে এক অদম্য কৌতুহল জেগে উঠে সেই সৌন্দর্য দেখার। হাজার বছর অপেক্ষার পর তার প্রেমময় পুরুষ ক্যালিক্রেটিসকে ফিরে পেয়ে তার মতোই অনন্ত যৌবন দেয়ার নেশায় আবার উঠে পড়ে লাগে আয়েশা। পাড়ি দেয় এক লম্বা বিপদসংকুল পথ।
শেষ হওয়া অব্দিই বইটা পূর্ণ মনযোগ ধরে রেখেছিল। কিন্তু শেষ করার পরই বুঝতে পারলাম শেষ হয়েও শেষ হয়নি। সিক্যুয়েল আছে এটার। সুযোগ পেলেই এবার পড়ে ফেলব “রিটার্ন অভ শী”।
পাঠ প্রতিক্রিয়াটি লিখেছেনঃ Tasnim Choity