উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন দ্য ক্যাসেল : একটি পাঠ প্রতিক্রিয়া

0
উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন দ্য ক্যাসেল
উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন দ্য ক্যাসেল

#উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন দ্য ক্যাসেল
#শার্লি জ্যাকসন

উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন দ্য ক্যাসেল
উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন দ্য ক্যাসেল

২০১৫ সালের শেষদিকের কথা, Gillian Flynn এর Gone Girl শেষ করেই Dark Places ধরলাম. প্রায় সাড়ে তিনশ পেজের বই, পড়ে ফেললাম খুব দ্রুতই। মাথায় শুধু অ্যামি আর লিবির কথাই ঘুরপাক খাচ্ছিল। বই দুটো গুডরীডসে রেটিং করতে গিয়ে, সাজেশন হিসেবে পেয়ে গেলাম শার্লি জ্যাকসনের অন্তিম উপন্যাস We Have Always Lived in the Castle. তারপর তো কেটে গেল অনেকদিন। বইটা কিনে পড়ার অপেক্ষায়ই ছিলাম। সাথে এটা ওটা করে সময়ের মতো সময় ঠিকই বয়ে চলল, আমি রয়ে গেলাম পিছে। ফোর্থ ইয়ার এক্সাম দিচ্ছি এমন সময় ফেসবুকে একটা গ্রুপে বইটার ছবি দেখে আবার মাথা চারা দিয়ে উঠল পড়ার ইচ্ছাটা। এবার আর দেরি না করে পড়া শুরু করে দিলাম। যাইহোক, মূল কথায় আসি।

ব্ল্যাকউড, ধনী এবং ক্ষমতাশালী এক পরিবার। আকস্মিক বিষক্রিয়ায় মৃত্যুবরণের ফলে, পরিবারের সাত সদস্যের মাঝে এখন আছে মাত্র দুইজন; মেরি আর কনস্ট্যান্স। আরও একজন আছে, ওদের আঙ্কেল।

বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু তার নাগাল পায়নি, কিন্তু এত বড় একটা দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ে বেচে রয়েছেন। এর পর সবকিছুই নিজেদের মতো করে চলতে থাকে এই তিনজনের। কনস্ট্যান্স নিজেকে ঘর বন্দী করে, যার কাজ রান্নাবাড়া করা। শুধু মেরিকেট (মেরি ক্যাথরিন) বাইরে যায়, তাও সপ্তাহে একদিন বাজার আর লাইব্রেরীতে। এমনই একদিন ব্ল্যাকউডের রাজ প্রাসাদতুল্য বাড়িতে, কালো মেঘের ছায়ার মতো আগমন ঘটে ওদেরই চাচাত ভাই, চার্লসের। আর ঘটতে থাকে যা না ঘটাই ভালো। সাথে উন্মোচিত হয় এক রহস্যজট।

বইটার সঠিক ঘরনা বলাটা আমার পক্ষে মুশকিল। এটা একই সাথে গোথিক, সাইকোলজিক্যাল এবং মিস্ট্রির একটা সম্ভার বলা যায়। খুবই অল্প চরিত্র নিয়ে উপন্যাসটা লিখা হয়েছে। যেমন, মেরি, কনস্ট্যান্স, আঙ্কলে জুলিয়ান আর চাচাত ভাই চার্লস।

আঙ্কেল জুলিয়ান তো পঙ্গুই হয়ে যায় দুর্ঘটনার পর থেকে। কনস্ট্যান্সকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রেফতার করা হলেও পরে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীর কাছে ও দোষীই থেকে যায়। মেরির কথা নিচে বলছি, আগে চার্লসের কথা বলে নেই। ও আসেই ব্ল্যাকউডদের সম্পদের লোভে, সাথে কনস্ট্যান্সের সরলতার সুযোগ নেওয়ারও চেষ্টা চালায়।

এবার আসি মেরিকেটকে (মেরি ক্যাথরিন ব্ল্যাকউড) নিয়ে। উপন্যাসের কথক (narrator) মেরি নিজেই। আঠারো বয়সের এই মেয়েটার বর্ণনায় বইটা আরও সুসমৃদ্ধ। মেরি একাই এমন একটা চরিত্র যা পাঠক হিসেবে মন থেকে খুব দ্রুত মুছে ফেলাটা রীতিমত কঠিন কাজ। প্রতিটা পাতা উল্টানোর সাথে সাথে মেরির বিভিন্ন রকম মানসিক চিন্তা ভাবনা আর বিচার গুলো পাঠকের চোখে ধরা পড়বে। যা কিনা প্রায় অদ্ভুত। নাহ আর কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না মেরিকে নিয়ে, এমনকি বইটাকে নিয়েও। পড়েই দেখুন। শার্লি জ্যাকসনের লেখা অনবদ্য এক মাস্টারপিস এই উপন্যাস।

পাঠপ্রতিক্রিয়াটি লিখেছেনঃ শুভঙ্কর শুভ‎

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে