মহেড়া জমিদার বাড়ির বেশ কিছু পোস্ট দেখে আজ ঘুরে এলাম। চমৎকার জায়গা। সে তুলনায় প্রচার নেই। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জমিদার বাড়ী! এরচেয়ে আরো অনেক বড় বড় আছে কিন্তু এত সুন্দর আর কোনটা দেখি নি। জমিদার বাড়ির পিছনের পাসরা পুকুরের পিছনে খুব সুন্দর একটা পার্ক তৈরি করেছে। বর্ণিল ফুলের বাগান, দেখার মত নানা ধরণের বেশ কিছু চেয়ার টেবিল আর চিলেকোঠার মত ছাউনি, ঘাসের লন, ফুল বাগান, পাথুরে ঝর্না বিশাল একুরিয়াম ইত্যাদি দিয়ে পুরো শুটিং স্পট বানিয়ে ফেলেছে। কোন পাবলিক প্লেস যে এত পরিষ্কার রাখা যায়, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। পার্কের টয়লেট পর্যন্ত ঝকঝকে পরিষ্কার।
১৮৯০ দশকের পূর্বে স্পেনের করডোভা নগরীর আদলে টাঙ্গাইলের মহেড়া জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনী মহেড়া জমিদার বাড়ীতে হামলা করে এবং জমিদার বাড়ির কূলবধূ সহ পাঁচজন গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা লৌহজং নদীর নৌপথে এ দেশ ত্যাগ করেন। এখানেই তখন মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। ১৯৭২ এ জমিদার বাড়ীটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং ১৯৯০ সালে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয়।
রুম ভাড়া নিয়ে রাতে থাকতে পারবেন। ভাড়া ৩০০০, ৫০০০, ৮০০০ টাকা। থাকতে পারবেন জমিদার বাড়ির ভেতরে। রুম ভাড়া নিলে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল ব্যাবহার করতে পারবেন। পিকনিকে যেতে পারেন। যোগাযোগ ০১৯৩৩৯৯৬৬৯৯
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকার মহাখালী থেকে নিরালা বাস এ করে ১৬০টাকা ভাড়া তে ডুবাইল এর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার। আপনারা চাইলে টাঙ্গাইল গামী অন্য বাস ও যেতে পারবেন।
সেখান থেকে CNG তে করে প্রতিজন ১৫ টাকা অথবা রিজার্ভ ৭৫ টাকা দিয়ে মহেড়া জমিদার বাড়ি। ভিতরে প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা।
লেখকঃ Naheed Nazafaat