কম সময়ে কাছে কোথাও ঘুরে আসতে পারবেন এমন অনেক জায়গাই আছে ঢাকার আশে পাশে। তারমধ্যে খুব সুন্দর আর মন ভালো করে দেয়ার মতো একটি জায়গা হলো গোলাপ গ্রাম। বিশ্বাস করুন, এই গ্রাম আপনার যান্ত্রিক জীবনের অনেকটা ক্লান্তিই দূর করে দিবে।
একটি-দু’টি নয়, চোখ যতদূর যায়, শুধু লাল-সাদা গোলাপের সমারোহ! ঘাট থেকেই ভেসে আসবে গোলাপের সুগন্ধ। সুগন্ধ আর চোখ জুড়ানো দৃশ্য নিয়ে সেজে আছে পুরো গ্রাম। রাস্তার দু’ধারে দেখা যায় অসংখ্য গোলাপের বাগান। গোলাপের নয়নাভিরাম দৃশ্য ও মনোমুগ্ধকর সুবাস। গ্রামের বুক চিরে চলে গেছে আঁকাবাঁকা সরু পথ। তার দু’পাশে বিস্তীর্ণ গোলাপের বাগান। ফুটে থাকা গোলাপের সৌরভ ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। নানা রঙের গোলাপ ফুলের সঙ্গে আছে জারভারা, গ্লাডিওলাস। সাদুল্লাপুর গ্রাম হলেও পুরোটাই গোলাপের বাগান দিয়ে পরিপূর্ণ।
গ্রামে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে গোলাপের হাট। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী এসে ভিড় জমান সেখানে। জমতে থাকে বেচাকেনা, চলে রাত পর্যন্ত। আমিও ৫০ টাকায় ১ গুচ্ছ (১২টি) গোলাপ কিনেছিলাম। যেকোনো বাগান থেকে কথা বলে আপনি গোলাপ কিনে নিতে পারেন। তবে ওরা ওখানে ১০০-১৫০ এর কম গোলাপ বিক্রি করে না। দুপুরের দিকে গ্রামের ছোট হোটেল গুলোতে খাওয়া দাওয়া করে নিতে পারেন। অথবা সাথে খাবার নিয়ে গেলেও ভালো হয়।
কীভাবে যাবেন: আমরা গিয়েছিলাম মোটর সাইকেলে – মিরপুর বেরিবাধ ধরে বিরুলিয়া ব্রিজ হয়ে সোজা গেলে আকরান বাজার, সেখান থেকে বেয়ে গেলেই মিলবে সুধু গোলাপ আর গোলাপ ।তবে নৌকায় গেলে আর ভাল – (যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, ফার্মগেট হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধে যাওয়ার কাউন্টার বাস সার্ভিস আছে। এ ছাড়া মিরপুর এক নম্বর সেকশন কিংবা গাবতলী থেকে রিকশায় সহজেই যাওয়া যায় দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট। এ ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা অথবা ট্যাক্সিক্যাবেও যাওয়া যায় সেই ঘাটে। তারপর এখান থেকে শ্যালো ইঞ্জিনের নৌকা ১০ মিনিট পরপর ছেড়ে যায় সাদুল্লাপুরের দিকে।স্পিডবোট, কোষা নৌকা, শ্যালো নৌকা চুক্তিতে ভাড়া নিয়েও যাওয়া যায় সাদুল্লাপুর। সে ক্ষেত্রে শুধু যেতে কোষা নৌকার ভাড়া ৩০০ টাকা, শ্যালো নৌকা ২৫০ টাকা, স্পিডবোট ৫০০ টাকা। সাদুল্লাপুর ঘাটের কাছে হোটেল আছে। দল বেঁধে গেলে হোটেলের লোকদের আগেই রান্না করার কথা বলতে হবে। হেঁটেই পুরো সাদুল্লাপুর চক্কর দেওয়া যায়। আবার গ্রামের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া পিচঢালা পথে রিকশা নিয়েও ঘোরা যায়।
লেখক এবং ফটো ক্রেডিটঃ কামরুল হাসান